আকাশ দিনের বেলা নীল আর রাতের বেলা কালো দেখায় কেন?

দিনের বেলা আকাশের দিকে তাকালে দেখা যাবে সেটা নীল রঙ হয়ে বসে আছে। আচ্ছা, আকাশ নীল রঙের হয় কেন? অনেক আগে থেকেই মানুষের মনে এই প্রশ্নটির উদয় হয়েছিল। কিন্তু বহু শতাব্দি পর্যন্ত জ্ঞানী-গুনি ব্যক্তিরা অনেক হিসাব কষেও সেই উত্তর বের করতে পারেননি। 


এর উত্তর হলো, পৃথিবীর চারপাশে বায়ুমন্ডলে ভাসমান ছোট ছোট ধূলিকণা রয়েছে। সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসার সময় ঐ কণাগুলি দ্বারা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়। এবং নীল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম বলে Rayleigh scattering এর সূত্র অনুযায়ী তা সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হয়। যার কারনে দিনের আলোতে আকাশকে নীল দেখায় আর রাতের বেলা  সূর্যরশ্মির অনুপস্থিতির কারনে বিচ্ছুরন ঘটেনা এবং আকাশ কালো দেখায়

পছন্দ হলোনা? আরো ব্যাখ্যা দরকার? ঠিক আছে।

প্রথমে সহজ একটা প্রশ্ন করি,আচ্ছা সূর্যের আলোর রঙ কি?

সময়কালের ক্যাঁচক্যাঁচানি (!)

কিছুদিন ধরেই সময় পরিভ্রমন, আপেক্ষিক তত্ত্ব এসব নিয়ে লিখার বেশ ইচ্ছা করছিলো। কোন সমীকরন না ব্যবহার করে, চাঁপার জ়োরে এগুলো নিয়ে বকবক করা যে কতটা কষ্টকর, সেটা লিখতে গিয়ে টের পেলাম।
যাইহোক আপনাদের একটা প্রশ্ন করি, ধরুন আজকে আপনার জন্মদিন, ঠিক একবছর পর আপনার বয়স কয়দিন বাড়বে? সাধারন কথায় উত্তরটি খুবই সাদামাটা- 'একবছর'। এভাবে চিন্তা করলে শুধু আপনি কেন, একবছর পর আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, চেনা-অচেনা সবার বয়সই ঐ একবছরই বেড়ে যাবার কথা।



একটি বজ্জাত নিউট্রিনো এবং...

মাসদুয়েক আগের কথা। সকালবেলা ফেসবুক খুলে আমার চোখদু'টি ছানাবড়া হয়েগেলো!!! ছানাবড়া হবার কারন আর কিছুই নয়, সেটি ছিলো ফেসবুকে শেয়ার করা একটি খবর, যেটার মূল কথাটি ছিলো- "আলোর চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন কণা আবিস্কার। নিউট্রিনো আলোক কণার চেয়ে বেশি বেগে ছুটতে পারে!!!"


বলেকি?? অ্যাঁ যেখানে আলোর গতিবেগকে ধ্রুব ধরে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ত্বের মতো বিশাল বিশাল আতেঁলিয় তত্ত্ব সমূহ দাড়িয়ে আছে সেখানে বজ্জাত নিউট্রিনোর এতো সাহস??


কোন ক্র্যাকপটের নিজস্ব ব্লগের লেখা বা ফেসবুকের নোট হলে হয়তো সেটা হাসির খোরাক হিসাবেই উড়িয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু খবরটি মোটেও ফেলনা নয়, কারন প্রথমতঃ লিংকগুলি ছিলো BBC news, New York Times এর মতো বড় বড় পত্রিকার, আর দ্বিতীয়তঃ এই খবরটির দাবীদার হলেন স্বয়ং CERN এর Opera গ্রুপের বিজ্ঞানীরা

বলুন দেখি?? -(১) উত্তর


আগের পোস্টটিতে একটি প্রশ্ন করেছিলাম উপরের ত্রিভুজকে পূনর্বিন্যস্ত করে নিচের ত্রিভুজটি তৈরি করা হলো-



দুটি ত্রিভুজেরই আলাদা আলাদ অংশের মোট ক্ষেত্রফল সমান (চাইলে গ্রাফের ঘর গুনে দেখতে পারেন) তাহলে নিচের ত্রিভুজে একটি ফাঁকা ঘর আসলো কিভাবে?

বলুন দেখি?? -(১)

আজকে একটা মজার জ্যামিতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো। ধরা যাক একটি ত্রিভুজকে চারটি অংশে ভাগ করে ফেলা হলো। নিচের ছবিটা ভালোভাবে খেয়াল করুন , চারটি অংশ চারটি রং দিয়ে আলাদা করে নির্দেশ করা হয়েছে -

ব্যারোমিটার দিয়ে বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় ... (!!)

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় একজন পরীক্ষক নীচের প্রশ্নটি করেছিলেন-

"একটি ব্যারোমিটারের সাহায্যে কিভাবে একটি বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় করা যায় বর্ণনা কর।"

একজন ছাত্র লিখলো-

"প্রথমে ব্যারোমিটারের মাথায় একটা সুতা বাধতে হবে। এরপর ব্যারোমিটারটিকে ভবনের ছাদ থেকে নীচে নামিয়ে মাটি পর্যন্ত নিতে হবে। তাহলে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য আর সুতার দৈঘ্য যোগ করলেই ভবনের উচ্চতা পাওয়া যাবে।"

থিসিস পেপার

[দৃশ্য ১:]

বনের মধ্যে চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল এক দিন। খরগোশটি তার নিজের গর্ত থেকে বের হয়ে কম্পিউটার চালু করে, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওপেন করে, টাইপ করতে লাগল। হাঁটতে বেরিয়ে খরগোশকে দেখে পা টিপে টিপে তার কাছে আসল এক শেয়াল।

শেয়াল: [থাবা বের করে ধূর্ত হাসি দিয়ে] কী করছিস তুই?
খরগোশ: থিসিস লিখছি আমার, আগামী পরশু জমা দিতে হবে।
শেয়াল: [তাচ্ছিল্যভরে] অ! তা কীসের থিসিস?
খরগোশ: ওহ, আমার থিসিসের বিষয় হচ্ছে "খরগোশরা কীভাবে শেয়ালদের খায়!"

[বিশাল নিরবতা নেমে আসে কথোপকথনে]

শেয়াল: লিখলেই হলো! গুলতানির আর জায়গা পাস না। যেকোনো গাধাও জানে খরগোশরা কখনো শেয়াল খায় না।
খরগোশ: অবশ্যই খায়। আমি প্রমাণ দেখাচ্ছি, এসো আমার সাথে ।